জনাব আব্দুস সবুর দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ডায়াবেটিস এর সমস্যায়। তার রক্তে থাকা গ্লুকোজ এর মাত্রা ছিল ২২-২৩।পরবর্তীতে ২০২৩ সালের আগস্টে সর্বপ্রথম তিনি EW Villa Medica তে আসলে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে দেয়া হয় অর্গান স্পেসিফিক অত্যাধুনিক স্টেমসেল ট্রিটমেন্ট।এই ট্রিটমেন্টের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ইনসুলিন এর নির্ভরতা ছাড়াই তার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অর্থাৎ ডায়াবেটিস ২২-২৩ থেকে ৬.৩ এ চলে আসে।

আব্দুস সবুর এর শরীরের এই সফল পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হচ্ছে স্টেম সেল তাই আজকের ব্লগে স্টেমসেল এর আদি থেকে অন্ত জানাবো আপনাদের।

স্টেম সেল কি?

স্টেম সেল বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক বিস্ময়কর আবিষ্কার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্টেম সেল হলো বিশেষ ধরনের কোষ, যেগুলো শরীরের যেকোনো ধরনের কোষে পরিণত হতে পারে।

স্টেম সেলের ব্যবহার:

স্টেম সেলের অনেক সুবিধা আছে। যেইগুলো জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।এর মধ্যে অন্যতম:

রোগ নিরাময়:

স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল রোগ, যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, এবং হার্টের সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক হতে পারে। এই থেরাপির মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলোকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়।

অঙ্গ প্রতিস্থাপন:

অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে স্টেম সেল একটি বিপ্লব সৃষ্টি করতে পারে। এটি শরীরের ভিতরে নতুন টিস্যু বা অঙ্গ তৈরি করতে সহায়ক, যা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সমস্যাগুলো দূর করতে পারে।

ত্বক ও কেশ:

স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে ত্বক ও কেশের পুনরুজ্জীবন সম্ভব। এটি বয়সের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি এবং চুল পড়া সমস্যার সমাধান করতে পারে।

স্টেম সেল নিয়ে গবেষণা

বিশ্বব্যাপী স্টেম সেল গবেষণা ত্বরান্বিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করছেন যা স্টেম সেলের ব্যবহারকে আরও কার্যকর এবং নিরাপদ করে তুলতে পারে।

বাংলাদেশেই এখন তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক স্টেমসেল:

বর্তমানে বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের স্টেমসেল। ইডব্লিউ ভিলা মেডিকার সহযোগী প্রতিষ্ঠান টোটিসেলের অত্যাধুনিক ল্যাবে এখন প্রস্তুত হচ্ছে স্টেমসেল যা সরাসরি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত।আব্দুস সবুর এর মতো আরো অসংখ্য মানুষ বর্তমানে উপকৃত হচ্ছে এই স্টেম সেল ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে। স্টেলসেল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে যুক্ত থাকুন কমেন্ট সেকশনে।